বিশ্বসেরা প্রযুক্তি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স—এআই কাজে লাগিয়ে পরিষেবা আরও উন্নত করার চিন্তা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্ব যখন বুঁদ হয়ে আছে তখন এর নেতিবাচক দিকও সামনে আসছে।
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট নাকি গ্রাহকদের তথ্য ব্যবহার করে এআইকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে! সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাপ্লিকেশন- যার অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ড ও এক্সেল, সেই তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে এআই মডেলকে শিক্ষিত করতে।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ইউজাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থার ‘কানেক্টেড এক্সপিরিয়েন্স’ ফিচারটি নিয়ে।
দাবি করা হয়েছে, সম্ভবত ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে এআই মডেলকে প্রশিক্ষিত করতে। কিন্তু এই ধরনের সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট।
তারা বলছে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টিই হয়েছে ‘কানেক্টেড এক্সপিরিয়েন্স’ ফিচারটি নিয়ে। কিন্তু এই ফিচার ইউজারদের তথ্য নিচ্ছে না। বরং অনলাইন ইমেজ সার্চ অথবা ইন্টারনেটে লভ্য তথ্যই তারা কাজে লাগাচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
আগে কেন জানায়নি মাইক্রোসফট?
২০২৪ সালের ২১ অক্টোবরে প্রকাশিত মাইক্রোসফটের এক ‘লার্নিং ডকুমেন্ট’ থেকেই এই বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির সূচনা। বলা হয়েছিল, নানা সূত্র থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালেও সেখানে বাদ রাখা হয়েছে ট্রেনিং লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলস তথা এলএলএমকে।
রয়টার্সকে মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র বলেন, এই দাবি একেবারেই অসত্য। মাইক্রোসফট ক্রেতাদের তথ্য ব্যবহার করে না।
Leave a Reply