বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

অনুগল্প “ভালোবাসার অনুসূচনা”

------ মৃণাল চৌধুরী সৈকত
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯৫ বার

আমাদের গ্রামের পাশ্বর্বতী গ্রাম ছুইদানা। ঐ গ্রামে বসবাস করতেন নিম্ম মধ্যবিত্ত সনাতন ধর্মের গোটা পাঁচেক পরিবার। এদের মধ্যে মধ্যবিত্ত একজন আমাদের নিবারণ কাকা। নিবারণ কাকা ছিলেন ন্যায় নীতির একজন ধারক ও বাহক। তার দুই ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মেয়ে ছিলেন সাক্ষাত দেবী লক্ষি। নাম তার সূচনা হালদার। যেমন তার চেহারা তেমন তার চালচলন আর বাচনভঙ্গি। কিন্তু সৌন্দর্যের অহংকারে গদগদ সূচনা হালদার। পা মাটিতে পড়তে কস্ট হতো তার। কিন্তু তৎসময় মাটি ছাড়া উপায় কি ? গাড়ী বলতে গরুর গাড়ী ছিলো জনমানুষের চলাচলের যোগাযোগ মাধ্যম। সূচনাদের নিজের বলতে বাড়ি ভিটে আর কাটা বিশেক চাষের জমি। অত:পর পা মাটিতে না ফেলে উপায় নেই। বলছি, প্রায় তেত্রিশ বছর আগের কথা। শোনেছি, নিবারণ কাকার স্ত্রী আর দুই ছেলে পরলোকগত, বড় মেয়ে অহনা হালদার ভারতবাসী । বর্তমানে সূচনা হালদার স্বামী হারা বিধবা। সংসারে প্রবেশের আগেই বিয়ের পনের দিনের মাথায় সূচনার স্বামী দীনেশ শহর থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় পরলোগত হন। তারপর থেকে সূচনা হালদার বাপের বাড়িতেই অবস্থান । সে যাই হোক, আমি আমার মধ্যবিত্ত পিতা নবারুন মিত্রের একমাত্র সন্তান। ক্লাস এইটে পড়ি গ্রামের সেরা সুন্দরী মেয়েটার পিছনে ৩ বছর ঘুরলাম। তাকে ভালোবাসবো বলে।
–কিন্তু তাকে কখনো বলা হয়ে উঠেনি ‘সূচনা’ আমি তোমাকে ভালোবাসি। সাহস পাইনি, মেয়েটা খুব রাগি আর আত্ব-অহংকারী বটে। যদি বাবাকে বা গ্রামের কাউকে বলে দেয়। তবে পরিবারের মান সন্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে শতভাগ। আর আমাকে ছাড়তে হবে ঘর-বাড়ি।
সেই ভয়ে গত প্রায় তিন চার বছর আমি আর সূচনার পিছু নেই না। কারন : যাকে পাওয়ার আশা নেই তার পিছনে ঘুরে কি লাভ। তাছাড়া লোকমুখে জানতে পারি, নিবারণ কাকাসহ স্ব-পরিবারে ভারতের আসামে চলে যাবে, বাড়ি জমি বিক্রির চেস্টা চলছে। সূচনাকে সেখানে নিয়ে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দেবে।
ইতিমধ্যে দেশে ভয়াবহ বন্যার করালশ্রোতে আমার পরিবারে নেমে আসে দুর্ভিক্ষ। বাবা অস্থির হয়ে পড়েন। মানুষের ঋনের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাবা, জায়গা জমি বাড়ি ভিটে বিক্রি করে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ করে আমাকে আর মাকে নিয়ে পাড়ি জমালেন ভারতের আসাম রাজ্যের কোন এক অজপাড়া গায়ে। সেখানেও কস্টের শেষ নেই, কাজ করলে খাবার জোটে নইলে উপোষ। এভাবে কেটে যায় আরো তিন বছর। তারপর, আবারো সেই জন্মভূমি। দেশে ফিরে এক টুকরো জমির উপর খড়-কুটোর বাড়ি তৈরি করে আমাদের বসবাস। হাটে বাজারে ঘুরে মসলার ব্যবসায় যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালান বৃদ্ধ বাবা নবারুণ। আর মা গৃহিনী, বাবার একা আয়-রোজগারে সংসার চলে গরুর গাড়ীর মতো। তাই আমার লেখাপড়ায় ভাটা পড়ে। ততাপি চলছে আমাদের জীবন।
আর ওদিকে নিবারণ কাকা এই তিন চার বছরে আঙুল ফোলে কলাগাছ। তিনি স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের হাত ধরে দালালী করে বেশ টাকা কড়ির মালিক বনে গেছেন। কিন্তু মনে শান্তি নেই, স্ত্রী পাগল প্রায়, বড় ছেলে গাঁজাখোর তার উপর চেনা জানাহীন কোথা থেকে এক মেয়ে বিয়ে করে অন্যত্র বাসা বেঁধেছে। ছোট ছেলে বখাটে, তৃতীয় কন্যা অহনা হালদার পাড়ার এক বখাটে ছেলের হাত ধরে উধাও। চতুর্থ অর্থাৎ ছোট মেয়ে সূচনা হালদার লেখা পড়ায় ব্যস্ত। প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ভাববার সময় নেই তার।
তারপর,
একদিন চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহ শেষে পড়ন্ত বিকেলে পাড়ার খোলা মাঠে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দেয়ার সময় হঠাৎ সূচনা হালদার এসে বলতে লাগলো।
–সৈকত, তোমাকে আমার কিছু বলার আছে। একটু সময় দেবে
আমায় ?
–কেনো নয়, কিন্তু কথা কি এখানে বলা যায় না ?
–না, তোমার বন্ধুদের সামনে বলা যায় না। উঠে এসো।
–অবাধ্যতার বেঁড়েজাল ছিঁন্ন করে, নম্র ভদ্র ছেলের মতো সৈকত
উঠে দাঁড়ালো এবার।
–সূচনা : চলো ।
–সৈকত : হ‍্যাঁ চলেন ?
কিছুদূর যাওয়ার পর সৈকত জিজ্ঞেস করলো, কি বলবেন বলুন ?
–নিশ্চয়ই বলবো, সামনে চলো। ইদানীং তুমি বুঝি খুব ভদ্র হয়ে
গেছো ?
–কেনো ? আমি কি খুব খারাপ ছেলে আপনার কাছে ?
–না, তা নয়, তবে–
–তবে কি, বলুন ?
–ইদানীং কি নতুন কোন মেয়ের হাত ধরেছো নাকি ?
–নতুন মেয়ে মানে। পুরাতন কেউ ছিলো কি আমার জীবনে ?
–কাহিনী কি বুঝলাম না। এতো পরিবর্তন তোমার ?
–তেমনটা না। আমি যেমন ছিলাম তেমনি আছি।
–তাহলে ?
–তাহলে কি ?
–তুমি কি কাউকে ভালো বাসো না ?
–ভালোবাসা, আমরা দরিদ্র, তাই হয়ত, সাহস হয়ে উঠে না
–তারপর ?
–আপনার বাবা বিত্তবান, আপনি বিত্তবানের মেয়ে আর আমি।
–তুমি কি ?
–আমার পিতা দরিদ্র পিতার দরিদ্র সন্তান আমি। এটা যখন
বুঝলাম ।
–যখন বুঝলে ?
–বুঝলাম, আপনার পিছনে ঘুরাটা ঠিক হচ্ছে না। তাছাড়া ?
–তাছাড়া কি ?
–আপনার বোন, আমাকে পছন্দ করে না।
–কি বললে ? এক থাপ্পরে তোমার চাপার সব কটা দাঁত ।
–কেনো ?
–আর একবার ধনী দরিদ্র আর আমার বোনের কথা বললে কিন্তু ।
–বুঝলাম না, আমাকে এতো রাগ দেখাচ্ছেন কেনো ?
–রাগ দেখাই কেনো বুজতে পারছো না।
–না বুঝতে পারছি না।
–দীর্ঘদিন যাবৎ, গ্রামের সুন্দরী একটি মেয়ের পিছনে ঘুরেছো।
অথচ কখনো ভালোবাসার কথা বলতে পারোনি, কেনো ?
–ভয়ে।
–কিসের ভয় ? ভালোবাসায় বাধা বিপত্তি প্রতিবন্ধকতা আসবেই’ ?
–আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন ?
–নাহ।
–ওহ ঠিক আছে আমি গেলাম।
–কথাটি শুনা মাত্রই সূচনা সৈকতের শার্টের কলার ধরে বলতে
থাকে।
–আর যদি এক পা সামনে যাও, তবে এ মূহুর্তে আমার চেয়ে
খারাপ কেউ হবে না।
–তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না। তাহলে থেকে কি হবে। আর
কি বলবে আমাকে ?
–তুমি কি জানো না মেয়েদের বুক ফোটে তবুও মুখ ফোটে না।
–তার মানে তুমি আমাকে ভালোবাসো ?
–হুম অনেক ভালোবাসি তোমাকে সৈকত।
–কিন্তু।
–আবার কিসের কিন্তু।
–তোমার বাবা আর বোন যদি এই সব জানতে পারে, তাহলে কি
হবে জানো তুমি।
–এই সব পরের চিন্তা। যদি বাবা সমস্যা করে তোমাকে নিয়ে
পালিয়ে যাবো ?
–তাই নাকি
–তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি। তোমার সঙ্গে সারাটি
জীবন কাটাতে চাই সৈকত।

  • আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি সূচনা। তোমার
    সঙ্গে চিরকাল কাটাতে চাই। কখনো তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে
    না তো ?
    — কিছুতেই না ।
    –চলো এখন।
    এমন সময় সৈকত বলতে লাগলো, আচ্ছা সূচনা আমরা
    আমাদের একে অপরের মনের গহ্বীনে যতন করে রাখা এতো
    দিনের ভালোবাসা আজ প্রকাশ পেয়েছে। তাই ভালোবাসার
    প্রথম দিনটা আমরা কি আগামী দিনের স্থৃতি করে রাখতে পারি?
    –নিশ্চয়ই, কি করতে চাও সৈকত।
    — চলো
    –কোথায়।
    –হাইস্কুল মাঠে, মেলায়।
    –মেলায় ?
    –হ্যা।
    — সেখানে শহর থেকে সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান রক্তদান
    কর্মসূচির অংশ হিসেবে দরিদ্র অসহায় রোগীদের জন্য রক্ত
    নিচ্ছে।
    — তুমি আমি আজকের আনন্দে সেখানে রক্ত দান করবো।
    –বেশ আইডিয়া তোমার।
    –আমাদের আজকের দিনটা আজীবন স্বরণীয় হয়ে থাকবে।
    –বেশ চলো।
    –আপনারা বুঝি স্বামী স্ত্রী ?
    — না হতে পারিনি এখনো। তবে আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
    — রক্ত দিতে এসেছেন নিশ্চয়ই।
    — হ্যা, আমরা দুজনেই আজকের দিনটাকে স্বরণীয় করে রাখতে
    চাই।
    — বেশতো আসুন, আপনার এক ব্যাগ রক্ত একজন মানুষের
    জীবন বাচাতে পারে নির্ভিগ্নে।
    এবার উভয়ের রক্ত পরিক্ষা শেষ হলো। সূচনা হালদারের রক্তের গ্রুপ এ-পজেটিভ। আর সৈকতের রক্তের গ্রুপ বি-পজেটিভ। যথারিতি রক্ত দেয়া হলো। একটু বিশ্রামের পর একে অপরে বেশ আনন্দের সাথে রিকশাযোগে বাড়ি ফিরছে। পথিমধ্যে সৈকতের জীবনে নেমে আছে এক ভয়াবহতা। হঠাৎ বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইক তাদের রিকশাকে ধাক্কা দিলে সৈকত আর সূচনা রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সৈকত মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারায়। আর সূচনার হাত-পায়ে কিছুটা ব্যথা পেলেও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। আশপাশের লোকজন সৈকতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার জানান, সৈকতের অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে, স্থৃতিশক্তি হারাতে পারে। তাকে বাঁচাতে হলে প্রচুর রক্ত প্রয়োজন। এ খবর জানার পর সৈকতের বাবা মা পাগল পায়। এমন সময় সৈকত ও তার বাবা মার পাশে এসে দাড়ান ব্লাড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রোমানসহ তার বন্ধুরা। হাসপাতালের বারান্দায় পা রাখতেই কান্দার আওয়াজ ভেসে আসে রোমানের কানে। সৈকতের বাবা মা রোমানকে দেখে বলতে লাগলো
    বাবা রোমান আমাদের ছেলেটা—-কাঁদতে থাকেন বাবা মা।
    -রোমান বললো, কোন চিন্তা করবেন না আঙ্কেল-আংটি, আমরা সৈকতের বন্ধু, আমাদের ব্লাড ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যত রক্ত লাগবে আমরা ব্যবস্থা করে সৈকতকে সুস্থ করে তুলবো। আমরা একটু সৈকতের সাথে দেখা করে আসি।
    সৈকত হাসপাতালের আইইউসিতে ভর্তি। কথা বলতে পারে, কিন্তু খুব কম।
    রোমানসহ তার বন্ধুদের কাছে পেয়ে সৈকত অনেকটা খুশি।
    সৈকত বলতে লাগলো, আমি বাঁচবো তো ? আর হ্যাঁ সূচনার কি অবস্থা, ও ভালো আছে তো ? ওর কিছু হয়নি তো ?
    -রুমান না, না, সূচনা ভালো আছে, হাতে পায়ে একটু ব্যথা পেয়েছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। ওর জন্য তোকে ভাবতে হবে না।
    -সৈকত, বন্ধু-আমার কাছে তো কোন টাকা নেই। আমার বাবা গরীব, আমি বাঁচবো তো ?
    -রোমান, পাগল একটা, তোকে ওসব চিন্তা করতে হবেনা। আমি আছিত নাকি।
    -সৈকত, তবুও?
    -রোমান, বেশি কথা বলো কেনো-সৈকত, ঠিক আছে কোটিপতি।
    রোমান বন্ধুদের নিয়ে চার ব্যাগ রক্ত দিয়ে আর হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ দিয়ে চলে যায়।
    এদিকে বাড়িতে সূচনা আহত অবস্থায় ফিরতেই বাবা নিবারন আর পরিবারের সদস্যদের জেরার মুখে পড়ে সত্যি কথাটা বলে দেয় সূচনা, সৈকত আর সে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছে। সে সৈকতকে ভালোবাসে। আর এই ভালোবাসার বিষয়টি সৈকতকে জানানোর পর তারা ব্লাড ফাউন্ডেশনের রক্ত সংগ্রহ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে সৈকতের অবস্থা ভালো নয়।
    খবরটা শোনে সূচনার বাবা নিবারন কাকা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেও মান সন্মানের ভয়ে কিছুই বলেননি। বরং সৈকতের খোঁজ খবর নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সূচনাকে ডেকে নিয়ে তার বাবা রিকশায় চড়েন অজানা গন্তব্যে।
    এদিকে নবারুন বাবু ছেলের দূর্ঘনার খবরে হতভম্ব আর একটু পরপর মা অর্চনা জ্ঞান হারান । মা বাবা হাসপাতালে বারান্দার খুটিতে হেলান দিয়ে ধুঁকরে ধুঁকরে কাঁদছেন আর ভগবানকে ডাকছেন, হ্যা ভগবান আমাদের ছেলেটাকে সুস্থ করে দাও।
    এমন সময় সূচনা হালদার আর তার বাবা নিবারণ আসে। সৈকতকে আইসিইউতে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সূচনা। নিবারণ তার মেয়েকে নিয়ে আইসিইউতে প্রবেশ করেন, সৈকতের খোঁজ খবর নেয়ার পর সৈকতের হাতে সূচনাকে সপে দিয়ে বললেন, সৈকত বাবা তুমি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে, তোমার পাশে সূচনা আছে, আমি আছি, তোমার বাবা মা আছেন। কোন চিন্তা করো না।
    -সূচনা : প্রয়োজনে তোমাকে ঢাকায় বড় হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখাবো। তুমি ভেবো না। আর আমাদের সকলের পাশে থাকবে ব্লাড ফাউন্ডেশন আর এর প্রতিষ্ঠাতা রোমান ভাই। এ সময় সৈকত+সূচনা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আধো হাসি আধো কান্নায় তাদের দীর্ঘদিনের ভালোবাসাকে কুর্নিশ জানায়। নিবারণ বলতে থাকে হৃদয়ের প্রেম আর
    ভালোবাসা খাটি হলে কোটিপতি আর তার মেয়েও ভালোবাসতে বাধ্য হয়।
    কিন্তু আমরা তো আজকাল ‘ভালোবাসি না বরং ভালোবাসার নামে অবলা নারীদের শরীরকে ভালোবাসি’।
    আসুন আমরা নোংরা মনের ভালোবাসাকে কবর দিয়ে, সত্যিকারার্থে একজন, নিবারণ হালদার, ব্লাড ফাউন্ডেশনের রোমান কিংবা সূচনা হালদার হওয়ার চেস্টা করি।
    #

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories