মহালয়া তিথিতে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ তর্পণ করা হয় এবং দেবী দুর্গার বোধন বা জাগরণ ঘটে এইদিনে। মহালয়া মূলত একটি পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ, যেখানে প্রয়াত পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয় এবং দেবী দুর্গার পৃথিবীতে আগমনকে স্বাগত জানানো হয়। এই দিনে পিতৃপক্ষের অবসান হয় এবং দেবীপক্ষের সূচনা হয়, যা দুর্গাপূজার ঠিক আগের দিন পালিত হয়। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয় এবং তাঁর আরাধনা শুরু হয়। দেবী দুর্গা এই দিন পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। সনাতনীরা ঐতিহ্যগত ভাবে দেবী মাহাত্ম্যম্ শাস্ত্র থেকে স্তোত্র পাঠ করতে মহালয়ার দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে। মহিষাসুরমর্দিনী নামে পরিচিত গান এবং মন্ত্রগুলির শোনার জন্য প্রত্যেক সনাতনী পরিবার ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে। এটি দেবী দুর্গার জন্ম এবং অসুর রাজা মহিষাসুরের উপর তাঁর চূড়ান্ত বিজয়ের বর্ণনা দেয়। পিতৃপক্ষে প্রয়াত পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে ‘জলদান’ বা তর্পণ করা হয় এবং পরলোকগত পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, ত্রিপুরা এবং আসামের বারাক উপত্যকায় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষ অমাবস্যা তিথিতে পালন করা হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বের সনাতনীরা তা পালন করেন। সূত্রমতে : প্রলয়কালে পৃথিবী এক বিরাট সমুদ্রে পরিণত হলে শ্রীবিষ্ণু সেই সমুদ্রের উপর অনন্তনাগকে শয্যা করে যোগনিদ্রায় মগ্ন হন। এই সময় বিষ্ণুর কর্ণমূল থেকে মধু ও কৈটভ নামে দুই দৈত্য নির্গত হয়ে বিষ্ণুর নাভিপদ্মে স্থিত ব্রহ্মাকে বধ করতে উদ্যত হন। ভিত হয়ে ব্রহ্মা বিষ্ণুকে জাগরিত করবার জন্য তাঁর নয়নাশ্রিতা যোগনিদ্রাকে স্তব করতে লাগলেন। তখন দেবী-শ্রীবিষ্ণুকে জাগরিত করলে তিনি পাঁচ হাজার বছর ধরে মধু ও কৈটভের সাথে মহাযুদ্ধে রত হলেন। পিতৃপক্ষ আর দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ হচ্ছে মহালয়া। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ প্রতিপদ শুরু হয়ে পরবর্তী অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কে পিতৃপক্ষ বলে। পুরাণ মতে ব্রহ্মার নির্দেশে পিতৃপুরুষরা এই ১৫ দিন মনুষ্যলোকের কাছাকাছি চলে আসনে। তাই এই সময় তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করা হলে তা সহজেই তাদের কাছে পৌছায়। তাই গোটা পক্ষকাল ধরে পিতৃপুরুষদেব স্মরণ ও মননের মাধ্যমে তর্পণ করা হয়। যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হল মহালয়া, পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পরের দিন শুক্লা প্রতিপদে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। সেই দিন থেকে কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিনই হল দেবীপক্ষ দেবীপক্ষের সূচনা । যা চন্ডি মধুকৈট ভারী, দৈত্য দলনী, যা মহিষমর্দিনী, যা দূর্গে চন্ড মুন্ডোমালিনী,যা রক্ত বিজশ্বরী,শক্তি সুন্দরী সুন্দর দৈত দলনী। আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেঁজে উঠেছে আলোক মঞ্জিল, ধরনীর বর্হিআকাশে-অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তর আকাশে জাগরিত জোর্তিময়ী জগত্মাতার আগমন বার্তা, আনন্দময়ী মহামায়ার পদ্ধধ্বনি অসিম ছন্দে বেজে উঠে রুপলোক ও রশলোকে আনে নবভাব মাধুরীর সঞ্জিবন, ত্রাহি আনান নন্দিতা শামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে-মৃন্ময়ীকে আবাহন। আজ শক্তিরুপীনি বিশ্বজননীর শারদও শ্রীমন্ডিত প্রতিমা মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানগ্রহিতা। মহামায়া-সনাতনী শক্তিরুপা গুনাময়ী-হে ভগবতী মহামায়া তুমিই ত্রিগুনাতিকা, তুমিই রজগুনে ব্রহ্মার গৃহিনী বাগদেবী, তমগুনে শিবের বনিতা পাবর্তী,আবার ত্রিগুনাতিত তুমিই অর্নিবচ্চনিয়া, আবার দেব ঋষি কণ্যা কাত্যায়নের কণ্যা কাত্যায়নী, তিনিই কণ্যাকুমারী আখ্যাতা দূর্গে, তিনিই দাক্ষ্যয়নি সতি, তিনিই আদিশক্তি, দেবী দূর্গা নিজদেহ সম্ভুত তেজপ্রবাহে শত্রুদহনকালে অগ্নিবর্ণা, অগ্নি লোচনা, এই উষা লগ্নে-হে মহাদেবী তোমার উদ্বোধনে প্রানের ভক্তিরশে আলোকিত হোক দিকে দিকে, হে অমিতজ্যোতি, হে মা দুর্গা, তোমার আবির্ভাবে ধরনী হোক প্রাণময়ী, জাগো জাগো মা।
জাগো দশপ্রহরণ ধারিণী : জাগো দুর্গা, জাগো দশ প্রহরণ ধারিণী, অভয়া শক্তি বল প্রদায়নী তুমি জাগো-দেবী প্রসীদ পরিপালয়ে নো হরি ভীতে: নিত্যং যথা সুরবধদিধনৈব সদ্য: পাপানি সর্বজগতাঞ্চ শমং নয়াশু উত্পাত পাকজনিতাংশ্চ মহোপসর্গানা। পূত পবিত্র এই আহবানের মধ্যে দিয়ে আজ দিবাগত রাতের শেষে ভোরে (২১ সেপ্টেম্বর রােববার) সারাবিশ্বে পালিত হবে পূণ্য তিথি মহালয়া। দূর্গায়ে দূর্গপারায়ৈ সারায়ৈ সর্ব্বকারিণ্যৈ, খ্যাত্যৈ তথৈব্য কৃষ্ণায়ৈ ধুম্রায়ৈ সতত: নম:- মাতৃবন্ধনার এ আহবানে পবিত্র পূণ্যতিথি মহালয়া। শারদীয় দূর্গাপুজার সপ্তাহকাল পূর্বে মায়ের আরাধনা বন্ধনায় মহালয়া পালিত হলো। শাস্ত্রমতে মহালয়া হচ্ছে একটি অমাবস্যা তিথি, এ তিথিতে সাধারনত পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ তর্পণ করা হয়। এদিন তর্পণ করলে পিতৃপুরুষরা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের বংশধরদের আর্শিবাদ প্রদান করেন। এছাড়া মহালয়ার দিনে দেবী দূর্গার বোধন করা হয়,বোধন অর্থ জাগরণ। তাই মহালয়ার পর দেবীপক্ষের/শুক্লপক্ষের প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার সুচনা করা হয়। শ্রাবন থেকে পৌষ ছয় মাস দক্ষিনায়ণ,দক্ষিণায়ণ দেবতাদের ঘুমের কাল। তাই বোধন করে দেবতাদের জাগ্রত করা হয়। মহালয়ার পর প্রতিপদে যে বোধন হয় সে সময় সংকল্প করে দুর্গাপূজার আয়োজন চলে। একে বলে কল্পরম্ভা, যদিও ষষ্ঠি থেকে পূজার প্রধান কার্যক্রম শুরু হয় তাই বলা হয় ষষ্ঠাদিকল্পরম্ভা। প্রতিপদ থেকে শুধু ঘটে পূজো ও চন্ডী পাঠ চলে।
মহালয়ার তাৎপর্য ও পালনের কারণ: পিতৃ পুরুষদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন: মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের স্মরণে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে জল ও তিল দিয়ে তর্পণ করা হয়। এই দিনটি প্রয়াত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে করা একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যা তাঁদের আশীর্বাদ লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্গাপূজার সূচনা: মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার উৎসব সূচনা হয়। দেবী দুর্গা এইদিন পৃথিবীতে আবির্ভূত হন বলে বিশ্বাস করা হয়, এবং তাঁর আগমনের জন্য এই দিনটিকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়। শুভ শক্তির আগমন: পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের শুরু হওয়ায় মহালয়া অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক। এই দিন থেকে দেবীপক্ষের আগমনের মাধ্যমে মন্দের ওপর ভালোর বিজয় শুরু হয়।
প্রথা ও বিশ্বাস: বাংলায়, মহালয়ার দিন থেকেই দেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ চূড়ান্ত রূপ পায়, চোখ আঁকা হয় এবং প্রতিমা মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং শারদীয়া দুর্গাপূজার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়।
পৌরাণিক তাৎপর্য: পুরাণে এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে যখন দেবী দুর্গাকে মহিষাসুরকে পরাজিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই ঘটনাটি মহালয়ার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। মহালয়ার তিথিতেই দেবী সংসার নিয়ে মর্তে আসেন। মহালয়া তিথি পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। অমবস্যার পরবর্তী তিথি প্রতিপদ থেকে শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। শাস্ত্রমতে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এই মহালয়া তিথিতে। পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুর তিথি মহালয়া। যদিও শারদীয়া দেবী দুর্গার পুজোর হিসাবেই মহালয়া তিথি বিশেষ পরিচিত।
শাস্ত্রমতে : পরলোকগত পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে তর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর সময় হল পিতৃপক্ষ। যাঁরা পরলোকগত পূর্বপুরুষের মৃত্যু তিথিতে বাৎসরিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে পারেন না, তাঁদের জন্য পিতৃপক্ষের মৃত্যু তিথিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার বিধান শাস্ত্রসম্মত। অমাবস্যা তিথি প্রেতকর্মের জন্য শুভ বা প্রশস্ত হওয়ার কারণে পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি পরলোকগত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদানের পক্ষে শুভ। পিতৃপক্ষে পরলোকগত পূর্বপুরুষকে জল দান করলে পূর্বপুরুষের আশীর্বাদে সংসারে বাধাবিঘ্ন নাশ হয়, সংসারে শান্তি আসে, শ্রীবৃদ্ধি হয়। এই বছর নবমীর সন্ধ্যাতেই শুরু হচ্ছে দশমীর তিথি ! পুজোর বাকি দিনগুলি কবে ? কী বলছে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা ? সেপ্টেম্বর পড়তে না পড়তেই আশপাশে উৎসবের আমেজ লেগে গিয়েছে। কিন্তু শুধু জামা-জুতো কিনলেই হবে না, পুজোর দিনক্ষণও জানতে হবে।
প্রায় সকল সনাতনীর মনেই বেজে উঠেছে পুজোর বাদ্যি। আকাশে এখনও মাঝেমাঝে কালো মেঘের ভিড় জমলেও, শরতের সাদা মেঘের আনা-গোনাও দেখা যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে লেগেছে নতুন জামা, জুতো কেনার ধুম। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বর পড়তে না পড়তেই আশপাশে উৎসবের আমেজ লেগে গিয়েছে। কিন্তু শুধু জামা-জুতো কিনলেই তো হবে না, পুজোর দিনক্ষণও জানতে হবে। সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ করে জ্যোতিষশাস্ত্র।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে: মহালয়া–অমাবস্যা তিথি আরম্ভ–বাংলা–৩ আশ্বিন, শনিবার। ইংরেজি–২০ সেপ্টেম্বর, শনিবার। সময়– রাত ১২টা ১৮ মিনিট। অমাবস্যা তিথি শেষ–বাংলা–৪ আশ্বিন, রবিবার। ইংরেজি–২১ সেপ্টেম্বর, রবিবার। সময়– রাত ১টা ২৪ মিনিট। অমাবস্যার ব্রতোপবাস। মহালয়া পার্বণ শ্রাদ্ধম। শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর অমাবস্যা বিহিত পুজো।
পঞ্চমী তিথি আরম্ভ–বাংলা–৯ আশ্বিন, শুক্রবার। ইংরেজি–২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার। সময়–সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট। পঞ্চমী তিথি শেষ–বাংলা–১০ আশ্বিন, শনিবার। ইংরেজি– ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার। সময়– দুপুর ১২টা ৪ মিনিট।
শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর পঞ্চমী বিহিত পুজো। সন্ধ্যাবেলা শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর বোধন। ষষ্ঠী তিথি আরম্ভ-বাংলা–১০ আশ্বিন, শনিবার। ইংরেজি–২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার। সময়–দুপুর ১২টা ৫ মিনিট। ষষ্ঠী তিথি শেষ–বাংলা–১১ আশ্বিন, রবিবার। ইংরেজি–২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার। সময়–দুপুর ২টা ২৮ মিনিট। সকাল ৯ টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পুজো প্রসস্তা। সন্ধ্যাবেলা শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সপ্তমী তিথি আরম্ভ–বাংলা–১১আশ্বিন,রবিবার। ইংরেজি–২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার। সময়–দুপুর ২টো ২৯ মিনিট। সপ্তমী তিথি শেষ–বাংলা–১২ আশ্বিন, সোমবার। ইংরেজি–২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার। সময়– বিকেল ৪টা ৩২ মিনিট। সকাল ৯ টা ২৮ মিনিটের মধ্যে, কিন্তু বারবেলানুরোধে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে, পুনরায় ৮টা ২৯ মিনিট গতে ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পুজো প্রসস্তা। রাত ১১ টা ৩ মিনিট গতে ১১টা ৫১ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দেবীর অর্ধরাত্রি বিহিত পুজো। অষ্টমী তিথি আরম্ভ–বাংলা–১২আশ্বিন, সোমবার। ইংরেজি–২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার। সময়–বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিট। অষ্টমী তিথি শেষ–বাংলা–১৩ আশ্বিন, মঙ্গলবার। ইংরেজি–৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। সময়–সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিট। সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে, কিন্তু বারবেলানুরোধে ৭টা ৩ মিনিটের মধ্যে, পুনরায় ৮টা ২৯ মিনিট গতে ৯টা ২০ মিনিটের মধ্যে।
শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহাষ্টমী বিহিত পুজো, মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ। বীরাষ্টমী এবং মহাষ্টমী ব্রতোপবাস।
সন্ধিপুজো-বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিট গতে সন্ধিপুজা আরম্ভ। সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিট গতে বলিদান। সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপুজা সমাপন। শ্রীশ্রী কালিকা দেব্যাবির্ভাব। মহিষমর্দিনী দেব্যাবির্ভাব। মহারাত্রি নিমিত্তানুষ্ঠান ও কুমারী পুজো। নবমী তিথি আরম্ভ-
বাংলা–১৩ আশ্বিন, মঙ্গলবার। ইংরেজি–৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। সময়–সন্ধ্যা ৬টা ৮ মিনিট । নবমী তিথি শেষ–বাংলা–১৪ আশ্বিন, বুধবার। ইংরেজি–১ অক্টোবর, বুধবার। সময়–সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিট। সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে, কিন্তু বার বেলানুরোধে সকাল ৮টা ২৯ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর নবমী বিহিত পুজো প্রসস্তা। শারদীয়া নবরাত্রিকা ব্রত সমাপন। দশমী তিথি আরম্ভ–বাংলা–১৪ আশ্বিন, বুধবার। ইংরেজি– ১ অক্টোবর, বুধবার। সময়–সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিট। দশমী তিথি শেষ–বাংলা–১৫ আশ্বিন, বৃহস্পতিবার। ইংরেজি–২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। সময়–সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিট। সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পুজো ও বিসর্জন প্রসস্তা। শ্রীশ্রী বিজয়া দশমী কৃত্য, কুলচারানুসারে বিসর্জনান্তে শ্রীশ্রী অপরাজিতা পুজো।
শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো–পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ–বাংলা–১৯ আশ্বিন, সোমবার। ইংরেজি–৬ অক্টোবর, সোমবার। সময়–দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট। শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পূর্ণিমা তিথি শেষ–বাংলা–২০ আশ্বিন, মঙ্গলবার। ইংরেজি–৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার।সময়–সকাল ৯টা ১৮ মিনিট। লেখক : কবি, সাংবাদিক ও সংগঠক
Leave a Reply