কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার জেরে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশই একে অপরের ওপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ভারত ড্রোন হামলা চালানোয় নিরাপত্তার স্বার্থে রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোর থেকে পিএসএলের বাকি ম্যাচ করাচিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংস ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই স্টেডিয়ামের নিকটবর্তী এলাকায় ড্রোন হামলা করেছে ভারত। যে কারণে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ম্যাচটি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই তা স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া পিএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়েও বাড়ছে শঙ্কা। যুদ্ধাবস্থার খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে এগিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একগাদা বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে পিএসএল চালিয়ে যাওয়া কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপারই। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেও খেলতে চাইছেন না। ফিরে যেতে চাইছেন নিজ নিজ দেশে।
পিএসএল যথাসময়ে চলার বিষয়টি আগে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল পিসিবি। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে। যে কারণে পিএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার মেঘ ক্রমশ বাড়ছে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পিসিবি পিএসএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) অথবা কাতারে স্থানান্তরের কথা ভাবছে। এ বিষয়ে বোর্ড বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ভেন্যুর লজিস্টিক সুবিধা মূল্যায়ন করছে।
এদিকে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, ভারত থেকে বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। যার অন্তত তিনটির লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাওয়ালপিন্ডি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরও অবস্থিত এ শহরে।
জানা গেছে, ড্রোনগুলোর একটি রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে থাকা একটি খাবারের দোকান এলাকায় আঘাত হানে। পিএসএলে অংশ নেওয়া ৬ দলের মধ্যে পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজিই বর্তমানে ইসলামাবাদে অবস্থান করছে। পিএসএলের ফাইনাল ১৮ই মে লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে টুর্নামেন্টটির বাকি ম্যাচগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচিতে স্থানান্তর করা হতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়েও পুনর্বিবেচনা চলছে। যদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নতি না ঘটে, তবে বিদেশি ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে খেলা নিরাপদে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
Leave a Reply