বিদেশে অবস্থানরত ‘গোল্ডেন ভিসা’ধারীদের জন্য বিশেষ কনস্যুলার সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। নতুন এই সেবার মাধ্যমে বিদেশে জরুরি পরিস্থিতি বা বিপর্যয়ের সময় গোল্ডেন ভিসাধারী প্রবাসীরা সরকারি সহায়তা পাবেন। একই সঙ্গে বিদেশে কোনো গোল্ডেন ভিসাধারী মারা গেলে তার ‘মরদেহ ফিরিয়ে আনা ও দাফনের ব্যবস্থাও’ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোল্ডেন ভিসাধারী প্রবাসীদের জন্য ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে একটি বিশেষ হটলাইন—‘প্লাস৯৭১২৪৯৩১১৩৩’। এর মাধ্যমে প্রবাসীরা সরাসরি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই হটলাইনের মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের উদ্ধার, চিকিৎসা ও সহায়তা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে প্রবাসীরা দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে চান।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদেশে গোল্ডেন ভিসাধারীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরানোর জন্য এই সেবার আওতায় বিশেষ প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা সহজে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন এবং মানসিক সহায়তাও পাবেন।
যদি কোনো গোল্ডেন ভিসাধারী প্রবাসীর পাসপোর্ট বিদেশে হারিয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে এই সেবার আওতায় ‘ইলেকট্রনিক রিটার্ন ডকুমেন্ট’ প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তিনি সহজেই ইউএই-তে ফিরে আসতে পারবেন। এই নথি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।
২০১৯ সালে চালু হওয়া ইউএই’র ‘গোল্ডেন ভিসা’ হলো দীর্ঘমেয়াদি আবাসিক ভিসা, যার মাধ্যমে কোনো নাগরিক স্পনসর বা নিয়োগকর্তা ছাড়াই দেশটিতে বসবাস, কাজ ও পড়াশোনা করতে পারেন।
এই ভিসার আওতায় বিনিয়োগকারী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, মেধাবী শিক্ষার্থী, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান খাতের বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ আবেদন করতে পারেন।
সম্প্রতি দুবাই ‘গোল্ডেন ভিসা’ দিচ্ছে ব্যতিক্রমী গেমার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর (যাকে জনপ্রিয়ভাবে বলা হচ্ছে ‘ইনফ্লুয়েন্সার ভিসা’) এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের।রাস আল খাইমাহ ঘোষণা করেছে, তারা এই ভিসা দেবে অসাধারণ শিক্ষক শ্রেণির নাগরিকদের। অন্যদিকে, আবুধাবি ২০২৪ সালে জানিয়েছিল, তারা এই সুবিধা দেবে ‘সুপারইয়ট মালিকদের’ও।
Leave a Reply