আগামী ৭ মে স্বাধীনতার পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি )-এর ১৯ম শাহাদাৎ বার্ষিকী ।
এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষকাল ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল , ইফতার ও তবারক বিতরণ , স্মরণ সভা এবং স্মরণিকা প্রকাশ। আগামী ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুপার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিকেলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ , স্মরণ সভা। এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করবেন।
এ উপলক্ষে আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি) স্মৃতি পরিষদ আগামী ৬ মে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক অলোচনা সভার আয়োজন করেছ। আহসান উল্লাহ মাস্টার(এমপি) স্মৃতি পরিষদ প্রয়াতের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ও সংবাদপত্রে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। এই উপলক্ষে,বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম(বিজেআরএফ), গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে), ভাওয়াল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমী, হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,সামাজিক সংগঠন মরহুমের কবরে পৃথকভাবে পু®পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মা¯টার ( গাজীপুর- ২ গাজীপুর সদর – টঙ্গী ) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ – (বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে । ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও শ্রমিক লীগসহ সকলকে শহীদ আহসান উল্লাহ মা¯টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করার জন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেন ও সাধারণ স¤পাদক আতাউর রহমান মসজিদে মসজিদে আহসান উল্লাহ মাস্টারের সকল কর্মসূচি সফল এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় সব্ইাকে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ।
Leave a Reply