জাতির পিতাকে স্বচক্ষে দেখিনি কখনো
তবে, অনেক ছবি দেখেছি তার।
কখনো টাকায়, কখনো পোষ্টারে
কিংবা উনাকে নিয়ে লেখা
গ্রহ্নাবলীর মলাটে।
কখনোবা লক্ষ জনতার সমন্বয়ে
ধেয়ে চলা মিছিলে মিটিংয়ের সভাস্থলে।
আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডল প্রকম্পিত
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার
একটাই দাবী-একটাই শ্লােগান
মুজিব হত্যার বিচার চাই।
না- এসব আমার মনে নেই
কারণ, সে সময় বয়স আমার
পাচ ছুই ছুই,-
সে বয়সের কোন কথাই
আজ আর আমার মনে নেই।
তবে, এটুকু বেশ মনে আছে-
পচাত্তরের পনেরো আগষ্ট ঘাতকগোষ্টির
মূহুমূহু বুলেটের শব্দে প্রকম্পিত
রাজধানীর বত্রিশ নম্বর বাড়ি,
স্তম্ভিত আর স্তিমিত দেশ ও জাতি।
বাড়ির মেঝেতে, সিড়িতে
এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে
রক্তাক্ত নিথরদেহ
সাত বছরের শিশু রাসেলসহ
মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা আর
বাংলা বাঙ্গালীর জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর
জাতি ছিল স্তম্ভিত, দিকনির্দেশনাহীন,
সামরিকতন্ত্রের বুটে পিষ্ট হলো গণতন্ত্র।
অনেকেই ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাত করে
দলের ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ব্যস্ত।
তারপর, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন
সত্তর দশক পেরিয়ে আশির দশক
অত:পর আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ।
Leave a Reply