গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীপন্থি গাজীপুর জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে। শনিবার ভোররাতে স্থানীয় মেঘনা রোডের মা টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরতর আহতরা হলেন জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (৪৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সোহাগ ভাণ্ডারি (৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হোসেন (৪৪), বিএনপিকর্মী আবু সাইদ (৫৭), মহর আলী (৩০), ফারুক জোয়ার্দ্দার (৫২) এবং হেলাল উদ্দিন (৩২)।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত কয়েক দিন ধরে গাজীপুর জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা উত্তোলন করছিল একটি চক্র। এর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার মিলগেটস্থ গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির অফিসে ঢুকে হুমকি দেন গাজীপুর জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের (আওয়ামীপন্থি) সভাপতি আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া। ওই ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেন তারা।
একপর্যায়ে শনিবার ভোরে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সামছুল হক রানা ওরফে ময়মনসিংহ্যা সামছু এবং গাজীপুর জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন এর নির্দেশে সেলিম ওরফে হাতি সেলিমের নেতৃত্বে সানাউল্লাহ, মারুফ, নাসির, মিলন, আইয়ুবসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাশ, লাঠি ও ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হেয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরতর জখম করে। এতে গুরুতর আহত সোহাগ ভান্ডারিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ইউসুফ হোসেন , বিএনপিকর্মী আবু সাইদ, মহর আলী, ফারুক জোয়ার্দ্দার এবং হেলাল উদ্দিনকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, গাজীপুর জেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রানার নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়। এই তিন আওয়ামী লীগের অনুচর, দালাল।
এদিকে গাজীপুর জেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ঠিকাদার মালিক সমিতির লোকজন শনিবার ভোরে চালকদের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে চালকরা দিতে অস্বীকার করেন। এ সময় তারা চালকদের মারধর করলে চালকরাও সংগঠিত হয়ে তাদের মারধর করেন। তাছাড়া তারা ন্যাশলাল টিউবরোডসহ মিলগেইট এলাকা আধিপত্ত বিস্তারের লক্ষ্যে এসব করছে। আমাদের লোকজন প্রতিবাদ করায় তারা অপ-প্রচার করছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ নেয়া হয়েছ তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply