টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ টঙ্গী সরকারী হাসপাতাল থেকে আলীমুল ইসলাম [২৩] নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত যুবক নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকার কলিমুদ্দিনের ছেলে এবং টঙ্গীর মুদাফাস্থ মজুমদার গার্মেন্টস এর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫২ নং ওয়ার্ডের বড় দেওডাস্থ মুদাফা এলাকার প্রবর্তন সিটির মাঠ থেকে স্থানীয় মিলন [২৫] পিতা আব্দুল হাজীসহ কাইয়ুম, রাশদে জিহাদ প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে ওই যুবককে মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে দ্রুত উত্তরার ইষ্ট ওয়েষ্ট মেডেিকল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার ডাক্তার তাকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে রাত ৮টায় টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ডাঃ তারানা বিনতে আনোয়ার ওই যুবককে মৃত ঘোষনা করেন।
ডাঃ তারানা বিনতে আনোয়ার জানান, নিহত যুবকের বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত যুবককে উদ্ধার কওে টঙ্গী হাসপাতালে আনা মিলনসহ তার সহযোগীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বড় দেওডাস্থ মুদাফা এলাকার প্রবর্তন সিটির মাঠে হঠাৎ চিৎকার চেচামেচির শব্দ শোনে এলাকার লোকজনসহ আমরা ঘটনাস্থলে দৌড়ে যাই। সেখানে উক্ত যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে আনার পর বিভিন্ন ভাবে জানতে পারি উক্ত যুবকের নাম আলীমুল ইসলাম। সে আজই তার গ্রামের বাড়ি নীল ফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে টঙ্গী আসছে এবং সে টঙ্গীর মুদাফাস্থ মজুমদার গার্মেন্টস এর শ্রমিক। ইতিমধ্যে স্থানীয় শেখ ফ্যাশনের কর্মরত সুপাভাইজার এবং নিহত আলীমুলের চাচাত ভাই রেজওযান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছে বলেও মিলন জানান।
নিহতের চাচাতো ভাই রেজওয়ান জানান, নিহত আলীমুল আমার ভাতিজা, সে অবিবাহিত এবং মুদাফার একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে। অঅগামীকাল তার অফিস খোলা, তাই সে একদিন আগেই গ্রামের বাড়ী থেকে টঙ্গীতে যায়। কিছুক্ষন আগে [রাত ১০টায়] তার মৃত্যুও সংবাদ পাই।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, টঙ্গী সরকারী হাসপাতাল থেকে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের সাথে সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তকরণ পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply