সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গীতে নারী মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার-২ টঙ্গীতে পা পিছলে ট্রেনের চাকায়, প্রাণ গেল পুলিশ সদস্যের হালুয়াঘাটে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল মাছ ব্যবসায়ীর হালুয়াঘাটে জলবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনপৌর মেয়র খায়রুল আলম ভূঞার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা হুমকির প্রতিবাদে হালুয়াঘাটে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঢুকে চুরি ও মাদক ব্যবসা করতো তারা হালুয়াঘাটে বজ্রপাতে স্কুল ছাত্র নিহত আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ: জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি নির্বাচন: সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর হলেন যাঁরা গাজীপুর সিটিতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলেন যাঁরা

অযন্ত্র ও অবহেলায় পড়ে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঝিকরগাছার পানির কুয়া

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২
  • ৪৪ বার

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অযন্ত্র ও অবহেলায় পড়ে আছে পানির কুয়া। তৎকালীন সময়ে প্রচুর ব্যবহার থাকলেও এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই পানির কুয়া। ঝিকরগাছা উপজেলার সর্ব মোট ৩৩টা পানির কুয়া আছে। যেটা সর্বশেষ ২০০৫সালে সংস্কার হয় তারপর থেকে অযন্ত্র ও অবহেলায় পড়ে বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। দেশের ফুলের রাজধানী ক্ষ্যাত গদখালী বাজার থেকে পানাসারা অভিমুখে গদখালী রেলওয়ে স্টেশনে সংলগ্নে ও রেলপথ থেকে প্রায় ২শত গজ দূরে সড়কে পাশে থাকা দুটি কুয়া অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রশাসনের যদি একটু নজরদারি থাকলে হয়তো এই কুয়া গুলো সংগৃহীত করে রাখা সম্ভব হতো বলে ধারণা করছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
ব্রিটিশ শাসনামলের পর ওই এলাকার মানুষ খাল-বিল, নদী-নালা ও পুকুরের পানি রান্না ও খাবারের কাজে ব্যবহার করতো। মানুষ সচেতন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার পূর্বেই তারা তাদের বসতবাড়ির আঙিনায় কিংবা সড়কের পাশে কুয়া স্থাপন করে নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের পানি পরিহার করে। বালতি বা কলসের গলায় দড়ি বেঁধে কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে টেনে টেন পানি তুলতে হতো। সেই পানি খাবার, রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো। কুয়া থেকে পানি তোলা কষ্টসাধ্য ছিল বলে অনেকেই নদী ও বিলের পানি ব্যবহার করতো। কিন্তু কুয়ার ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এই কুয়াগুলোর ব্যবহার কমতে কমতে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। আধুনিক যুগের ছোঁয়া লাগায় বর্তমানে প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লা কিংবা বাড়িতে বাড়িতে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপন করে টিউবওয়েল। ফলে ওই এলাকার মানুষ ক্রমান্বয়ে বিশুদ্ধ পানি পান করা শুরু করে। ফলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত পানিবাহিত রোগ কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়াসহ পেটের জটিল ও কঠিন রোগ থেকে রক্ষা পায়।
ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক সময় সমাজের মানুষ অসচেতন ছিল। ছিল না তাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ। তাই তারা নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরের পানি পান করতো। আর এতে করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি পেটের পীড়ায় ভুগতো। এখন টিউবওয়েল বা মিনারেল পানি ব্যবহারের ফলে পেটের সমস্যাও কমে গেছে। তবুও স্থানীয় ভাবে আমাদের যে পানির কুয়া গুলো আছে সেগুলোকে সংরক্ষণ করলে ভালো হতো।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশল অন্তরা সরকার মিতু বলেন, এই মুহুত্বে কুয়া সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। পরে যদি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে জানাবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories