শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে রক্তাক্ত করলো আশিকুর

রংপুর প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১০১ বার


রংপুরের বদরগঞ্জে দু’লাখ টাকা যৌতুক আনতে অস্বীকার করায় স্ত্রী মীনা বেগমকে (২৮) রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছেন স্বামী আশিকুর রহমান। শনিবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুরাতন জমিদারবাড়ী সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার লোকজন ওই নারীকে অচেতন অবস্থান পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। পরে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ গুরুতর অবস্থায় মীনা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মীনা বেগম স্বামী আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হোসেন আলীর মেয়ে মীনা বেগমের বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার কান্দুড়ার ছেলে আশিকুর রহমানের সাথে। বিয়ের পর মীনা বেগম স্বামীর বাড়িতে এসে জানতে পারেন আশিকুর রহমান এর আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছেন এবং সেসব স্ত্রীর সন্তান রয়েছে। এসব জেনেও তিনি স্বামীর ঘর-সংসার করতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি এক মেয়ে সন্তানের মা হন। কিন্তু সন্তান জন্ম নেবার পর আশিকুর রহমান দু’লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে বসেন মীনার পরিবারের কাছে। তবে মীনা পারিবারিক অক্ষমতার কথা চিন্তা করে সেই টাকা আনতে অস্বীকার করলে প্রতিনিয়ত তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এরপরও তিনি স্বামীর সংসারে পড়ে থাকায় আশিকুর রহমান আবারো অন্যত্র বিয়ে করেন এবং নানাভাবে নির্যাতন করে মীনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ফলে মীনা সন্তানসহ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে প্রায় বছর খানেক কাঁটানোর পর ৯ জানুয়ারি আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনাকে ফোন করে কৌশলে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে আশিকুর রহমান স্ত্রী মীনার কাছে আবারো দু’লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু বরাবরের মতই তিনি তা আনতে অস্বীকৃতি জানান। তার সাথে পেরে না ওঠায় আশিকুর রহমান নতুন কৌশলের আশ্রয় নেন। শনিবার সকালে তাকে কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাইরে নিয়ে আসেন এবং জমিদার বাড়ি সংলগ্ন বটতলা নামক স্থানে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় মীনা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে স্বামী আশিকুর রহমান রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যান। পরে এলাকার লোকজন ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories