সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

ভোলায় অলি-গলিতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম, প্রতিদিন বিক্রি লাখ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪ বার

হেমন্তের সোনালী ডানায় ভর করে শীত নেমেছে উপকূলীয় জেলা ভোলায়। আর শীত মৌসুম এলেই দ্বীপ জেলা ভোলায় শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। জেলা সদর ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তার মোড়ে, অলিতে-গলিতে, বিভিন্ন হাট-বাজারে চলে শীতের পিঠার বেচাবিক্রি। পিঠা বিক্রি করে একদিকে যেমন বিক্রেতারা সংসার চালাচ্ছেন অন্যদিকে বাজার থেকে এসব পিঠা কিনে খেয়ে শীতের পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন ক্রেতারা।
শীতকে কেন্দ্র করে পর্যটন সম্ভাবনা ভোলার চরফ্যাশন ওয়াচ টাওয়ারের সামনে বসেছে পিঠার দোকান। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বাড়ছে মুখরোচক শীতের পিঠার। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে শীতের পিঠার বেচাকেনা।
একইভাবে জেলা শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা। তাদের বাহারি সব পিঠাপুলি নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। এ সব দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায়।
এ শীতে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশি। ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচসহ ২০ পদের ভর্তা দিয়ে পিঠা পরিবেশন করা হয়। গরম গরম পিঠা পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি। এখানে প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০টাকা ও চিতল পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
ক্রেতার জানান, গ্রাম বংলার একটা অন্যতম উৎসব এ পিঠা উৎসব। শীতের এ মৌসুমে এখানে শীতের পিঠা বিক্রি একটা মেলার মতো হয়। আমরা পরিবারের সবাই এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে এখানে পিঠা খেতে আসি।
ক্রেতার আরও জানান, শীতের সঙ্গে শীতের পিঠার গভীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমরা যারা ভোজন রসিক তারা মৌসুমী এ পিঠার স্বাদ নিতে এখানে ছুটে আসি। এখানে নানা রকমের ভর্তা দিয়ে পিঠা বিক্রি করা হয়।
শীত মৌসুমে বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর আয়োজন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রীতি ও ভোজন থেমে নেই।
বিক্রেতেরা বলছেন, শীতের এই তিনমাস অন্য কাজ বাদ দিয়ে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন আইটেমের পিঠা বিক্রি করে থাকেন তারা। শীত মৌসুমে এই পিঠা বিক্রি করে ভালোই চলে তাদের সংসার।
জানা যায়, শুধু চরফ্যাশন ওয়াচ টাওয়ার নয় প্রতিদিন জেলার শতাধিক পয়েন্টে কয়েক লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয়ে থাকে।

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories