বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গী যমুনা গার্মেন্সে শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার-৭, আবারো-৭৫ শ্রমিক ছাঁটাই টঙ্গীতে মহাসড়ক ছাড়লেন বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা, যান চলাচল শুরু গাজীপুরে মহিলা কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার-২ টঙ্গীতে শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৫ গাজীপুরে বলাৎকারের অভিযোগ দিয়ে গণধোলাই। কারাগারে নেয়ার পর মৃত্যু,এলাকায় উত্তেজনা টঙ্গী ময়দানে সহিংসতার মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন সা’দ পন্থী আলেম মুফতি মুফতি জিয়া বিন কাশেম টঙ্গীতে শালিস বৈঠকে প্রতিপক্ষকে ছুরি মারতে যাওয়া যুবককে বাধা দিতে গিয়ে নিজেই খুন অনুগল্প “ভালোবাসার অনুসূচনা” পাহাড়ে নারীর জীবন সংগ্রামের ছাপচিত্র লাইসেন্স পেলো স্টারলিংক

২৪ বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা ২ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৪ বার

প্রায় ২৬ বছর আগে গৃহকর্ত্রী হত্যা মামলায় ২৪ বছর ধরে কারাগারে থাকা শরীফা বেগম ও আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাদের দ্রুত কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়। আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ১ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফাঁসির দিন গুনে এক নারীর ২৪ বছর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ বছর আগে হত্যা মামলায় শরীফা বেগম যখন কারাগারে যান, মেয়ে সূচী আক্তারের বয়স তিন মাস। কারাগারে কয়েকবার মাকে দেখলেও কখনও ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। মায়ের স্নেহ বোঝার আগেই মায়ের বুকে জড়িয়ে থাকার সুখানুভূতি কেমন তাও জানা নেই। একই অবস্থা মা শরীফারও। কারাগারে যাওয়ার পর আর কখনও সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরা হয়নি তার। কারণ ৫৫ বছরের জীবনের প্রায় ২৪ বছরই ‘মৃত্যু সেলে’ থাকা শরীফার মামলার বিচারই এখনও শেষ হয়নি।
১৯৯৮ সালে গ্রেফতারের পর ২০০০ সালের অক্টোবরে বিচারিক আদালতে তার ফাঁসির রায় হয়। সেই থেকে তিনি ফাঁসির সেলে (কনডেম সেল) বন্দি। ২০০৩ সালে হাইকোর্টে তার সাজা বহাল থাকে। এরপর ২১ বছরেও তার আপিল নিষ্পত্তির তথ্য মেলেনি।
এই দীর্ঘ সময় ফাঁসির সেলে থাকা শরীফার কথা আদালত, কারা কর্তৃপক্ষ, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় কারও মনে আসেনি। এই নারী জানতে পারেননি তিনি দোষী না নির্দোষ।
কারা কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, কারা ইতিহাসে আর কোনও নারী আসামিকে এত দীর্ঘ সময় ফাঁসির সেলে থাকতে হয়নি। এত লম্বা সময় (২৬ বছর) কোনও নারী কারাবাসে ছিলেন কিনা, সে তথ্যও মেলেনি।
শরীফার মতো জামালপুরের আবদুস সামাদ আজাদ ওরফে সামাদও একই মামলায় গত ২৪ বছর ধরে ফাঁসির সেলে বন্দি আছেন। কারা ইতিহাসে তিনিই একমাত্র পুরুষ আসামি যাকে এত দীর্ঘ সময় ফাঁসির সেলে থাকতে হয়। শেখ জাহিদ নামে খুলনার এক ব্যক্তি ২০ বছর ফাঁসির সেলে থাকার পর ২০২০ সালে ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগের আদেশে খালাস ও পরে মুক্তি পান।
দেশে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে অনেক নারীর মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর সাজা হলেও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে তা রহিত হয়ে যাবজ্জীবন, খালাস কিংবা অন্য মেয়াদের কারাদণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত কোনও নারীর ফাঁসি কার্যকর হয়নি। কিছু ব্যতিক্রম বাদে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) মামলা সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়। আসামি নারী হলে সে সময় আরও কমে যায়। ফৌজদারি আইন ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাবজ্জীবন সাজা ৩০ বছর হলেও কারাবাসের রেয়াত মিলে সেটি হয় সাড়ে ২২ বছর। কারও বেলায় নানা কারণে সেটি আরও কমে আসে।
এদিকে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি উদ্যোগ নিলে শরীফার আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories