বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ১৯ সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে এই সংশোধনী প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা হলো ওয়েস্টমিনিস্টার ধরনের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনায় সংসদ প্রধান ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রের সমস্ত সিদ্ধান্ত জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনার পর সংসদের মাধ্যমে নেওয়া হয়। সরকারের যেকোনো কার্যক্রমের জন্য সংসদের কাছে জবাবদিহিতা করার ব্যবস্থা থাকে। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালুর প্রথম থেকেই সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধির খসড়া সেভাবেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের প্রধান নির্বাহীকে সংসদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এটি করা হয়েছে (অনুচ্ছেদ-৭০)। এই বিধানটি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দলীয় সংসদ সদস্যদের (যারা সংসদ সদস্য বা এমপি নামে পরিচিত), সংসদে ভোটদানের সময় দলের সিদ্ধান্তের বাইরে বা যাকে সংসদের ভাষায় দলীয় হুইপিং বলা হয় তার বাইরে ভোট দানের অধিকার দেয় না। এটি প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় দলের সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিশ্চিত করে। সংসদে সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সরকার গঠিত হয়।
এছাড়া সংসদের সকল সিদ্ধান্ত সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র সংবিধানের সংশোধনী যার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়। সুতরাং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীকে একতরফাভাবে যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের এবং সংসদে তা পাস করানোর ক্ষমতা দেয়।
তিনি বলেন, সরকারি দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী যদি দুজন ভিন্ন ব্যক্তি হতেন- তাহলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংসদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও ভারসাম্য থাকতে পারতো। ঐতিহ্যগতভাবে, এটি কখনও ঘটেনি। এখন পর্যন্ত, যখনই সুযোগ আসে, দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন।
১. সেই প্রেক্ষাপটে, সংবিধান সংস্কারের জন্য প্রথম সুপারিশ হলো, সরকারি দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি না হওয়া ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজিত করা।
২. সংসদ সদস্যদের সংসদের নিজ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটদানের সুযোগ থাকবে। তবে, তারা সেটা করতে পারবে যখন দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট বিভাজন দেখা যাবে এবং কমপক্ষে দলীয় সংসদ সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন।
৩. ইতিহাসের অভিজ্ঞতা দেখায়, যদি একজন ব্যক্তি যথেষ্ট দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তবে সেই ব্যক্তি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার প্রবণতা দেখান এবং স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন। এইভাবে, বিশ্বের অনেক দেশের সংবিধানে ক্ষমতার শীর্ষে থাকা যে কোনও ব্যক্তির দ্বারা সর্বোচ্চ দু বার শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জন্যও একই পরামর্শ দিতে চাই “অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দু’ বারের বেশী সে পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না”। এই বিধানটি আমাদের সংশোধিত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
৪. আরও সংস্কারের প্রস্তাবগুলিতে যাওয়ার আগে, আমরা পরামর্শ দিতে চাই যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করা উচিত। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হলে নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধানগুলি পুণরায় চালু করা হবে।
৫. সংসদে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়ে প্রস্তাবিত রাষ্ট্রপতি, সর্বসম্মত প্রার্থী বিবেচিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন। ১৫ তম সংশোধনী বাতিল করার পরে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৮। (খ)-তে, সে অনুযায়ী পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
৬. পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করা হলে ৭(ক) অনুচ্ছেদটি বাদ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭(ক) যুক্তিসঙ্গত বলে বিবেচিত হয় না। সংবিধানের ৭(খ) অনুচ্ছেদটিও বাতিল হবে। এটির ফলে বর্তমানে সংবিধানের প্রায় এক তৃতীয়াংশকে অপরিবর্তনীয় করা হয়েছ। অর্থাৎ এ বিধানের ফলে কোন সংসদ ভবিষ্যৎ-এ কোন সংসদের ক্ষমতা খর্ব করছে বলা যায়, যা যুক্তিসঙ্গত নয়। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করা হলে সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৮ অনুযায়ী সংগঠন করার মৌলিক অধিকারের উপর সরকারের জনবিরোধী বিধিনিষেধ থাকবে না।
৭. রাষ্ট্রপতির নিয়োগ সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়, বরং সংসদ সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভোটে হওয়া উচিত। এর ফলে রাষ্ট্রপতি মোটামুটি সর্বসম্মত প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। রাষ্ট্রপতি নিয়োগের জন্য তিন চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুচ্ছেদ ৪৮(ক) সংশোধন করতে হবে।
৮. রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য সংসদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান প্রবর্তন করে স্থায়ীত্বের ঝুকি হ্রাস করার প্রস্তাব করছি। সেই অনুযায়ী সংবিধানের ৫২ নং ধারা সংশোধন করতে হবে।
৯. আমরা উক্ত অনুচ্ছেদ ৪৮ (৩) সংশোধনের নিম্নরূপ প্রস্তাব করতে চাই, “এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৬ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতিত রাষ্ট্রপতি তাঁর অন্য সকল দায়িত্ব পালনে, নির্ধারিত পদ্ধতি, যদি থাকে; অথবা নিজের বিবেক, বুদ্ধি ও বিবেচনা অনুযায়ী কার্য করিবেন, যদি কোন নির্ধারিত পদ্ধতি না থাকে।
১০. দুইজন ডেপুটি স্পিকারের বিধান থাকা উচিত, একজনকে অবশ্যই বিরোধী দল থেকে মনোনীত/নির্বাচিত হতে হবে। অনুচ্ছেদ-৭৪। (১) অনুযায়ী দুই ডেপুটি স্পিকারকে সরকারী দল এবং বিরোধী দল থেকে একজন করে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করছি।
১১. সংসদ কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসনের ১৯৭২ সালের মূল বিধান পুনরুদ্ধারকারী ষোড়শ সংশোধনী ইতিমধ্যে আপিল বিভাগ দ্বারা বাতিল করা হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণের জন্য “সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল” গঠন করা যেতে পারে।
১২. সংবিধানের অনুচ্ছেদ. ১০৯ এর অধীন অর্পিত কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা করার জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ “সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়” থাকবে। একই সচিবালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কাজও পরিচালনা করা যেতে পারে। সংবিধানে এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১৩. অনুচ্ছেদ- ১১৬ সংবিধানের অনুচ্ছেদ- ১০৯ এর সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটি অপ্রয়োজনীয় হিসাবে বিবেচিত হতে পারে এবং বাদ দেওয়া যেতে পারে।
১৪. সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৯৫। (২) (গ) এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে।
আমরা প্রস্তাব করছি, প্রধান বিচারপতির দ্বারা নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ বিচারপতিদের একটি প্যানেল অনুসন্ধান কমিটি হিসাবে কাজ করবেন, তারা বিচারক নিয়োগের সুপারিশ প্রধান বিচারপতির নিকট পেশ করবেন। সুপারিশ সহ নিয়োগ চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতির কাছে তা প্রেরণ করবেন; এভাবে আইনটি তৈরী করা যেতে পারে।
সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে, অনুচ্ছেদ -৬৫ (৩), সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোটদান পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা পঞ্চাশটি (৫০) আসন পূরণ করা হবে, বলা হয়েছে।
১৫. “সংসদ সদস্যদের একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোটদান পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা পঞ্চাশটি (৫০) আসন পূরণ করা হবে”; সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) এ বর্ণিত বিষয়টি অক্ষত রেখে আমরা প্রস্তাব করতে চাই, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই তাদের মোট প্রার্থীর কমপক্ষে দশ শতাংশ (১০%) মহিলা প্রার্থী সরাসরি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে হবে। এই মহিলা প্রার্থীরা অন্যান্য দলের পুরুষ প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে প্রার্থী নির্বাচন করার সময়, দলের যে মহিলা প্রার্থীরা সরাসরি নির্বাচনে লড়েছিলেন কিন্তু জিততে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই বিধানটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি।
যাতে করে মনোনয়ন সহ সরাসরি নির্বাচনে আরও বেশি মহিলা প্রার্থীকে অনুমতি দেওয়া হয়, এ বিষয়ে উপরোক্ত ব্যবস্থাটি রাজনৈতিক দলগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করবে; একই সঙ্গে এটি মহিলা প্রার্থীদের সাধারণ আসনের বিপরীতে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ এবং উৎসাহ প্রদান করবে। আশা করা যায়, এই ব্যবস্থাটি ধীরে ধীরে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে।
১৬. প্রস্তাব করছি, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান কমিশনারদের নিয়োগ দিবেন। তবে, নির্বাচন কমিশন( ইসি) সদস্যদের মনোনয়নের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক একটি “অনুসন্ধান কমিটি” গঠন করবেন। অনুসন্ধান কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ সদস্যকে অবশ্যই বিরোধী দল থেকে মনোনীত করতে হবে। অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণ নিয়োগ দান করবেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) অবশ্যই নির্বাচন চলাকালীন বেসামরিক এবং পুলিশ প্রশাসনের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে দিতে হবে, সেখানে কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার পরিণতিও থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি কোনও সরকারী কর্মচারী নির্বাচন কমিশন ( ইসি) কমান্ড মেনে না চলে তবে ইসির নিজস্ব কর্তৃত্ব থাকবে সাসপেন্ড, স্থানান্তর, বরখাস্ত, দোষী সাব্যস্ত করার। সরকারী দাপ্তরিক কার্যাবলীতে এটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১৭. সংবিধানের অনুচ্ছেদ.- ১২৬ এ, নির্বাচনের সময় কোনো কর্মকর্তা ইসি-র নির্দেশনা না মানলে নির্বাচন কমিশনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করছি।
১৮. কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব থাকবেনা। রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগসমূহ চুড়ান্ত করবেন। তবে এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত ব্যক্তি সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে পারেন।
(১) বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, (অবসরপ্রাপ্ত বা কর্মরত) দুইজন, (২) সংসদ, দুইজন সংসদ সদস্য (একজন সরকারি দল থেকে এবং অন্যজন বিরোধী দল থেকে) (৩) আমলাতন্ত্র (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) থেকে একজন, (৪) সুশীল সমাজ থেকে দুজন প্রতিনিধি (একজন পুরুষ ও একজন মহিলা) মোট সদস্য সংখ্যা -৭। উপরোক্ত কমিটিকে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার এবং তাদের সুপারিশ সহ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
১৯. দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য অধিকার কমিশন ইত্যাদির মতো অন্যান্য সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থার জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি নিম্নোক্ত ব্যক্তি সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে পারেন।
(১) বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, (অবসরপ্রাপ্ত বা কর্মরত) দুইজন, (২) সংসদ, দুইজন সংসদ সদস্য (একজন সরকারি দল থেকে এবং অন্যজন বিরোধী দল থেকে) (৩) আমলাতন্ত্র (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) থেকে একজন, (৪) সুশীল সমাজ থেকে দুজন প্রতিনিধি (একজন পুরুষ ও একজন মহিলা) মোট সদস্য সংখ্যা -৭।
উপরোক্ত কমিটিকে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার এবং তাদের সুপারিশ সহ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলা, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান প্রমুখ।
Leave a Reply