শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

কালের কণ্ঠ জবি প্রতিনিধির ওপর ছাত্রদলের হামলা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭ বার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব পাশে শিক্ষার্থীদের মারামারির ছবি ও ভিডিও করায় এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালের কণ্ঠে’র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখ।
রবিবার বিকাল পৌনে চারটায় বিশ্বিবদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইংরেজি ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধূপখোলা মাঠে। পরে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ফের মারামারি বাধে। মারামারির ভিডিও করতে গেলে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে গণিত বিভাগের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ায় ইংরেজি বিভাগ আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। পরে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসে ইংরেজি বিভাগের সঙ্গে মারামারিতে জড়ায়। এসময় পুরো ধুপখোলা মাঠে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এসময় উভয় বিভাগের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
এদিকে এ ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কালের কণ্ঠের জবি প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখ মারামারির ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতে গেলে প্রথমে বাধা দেন শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পরাগ হোসেন। এসময় অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ বলেন, আমি ভাস্কর্য চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখতে পাই ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব দিকে মারামারি হচ্ছে। আমি ফোন দিয়ে ভিডিও করতে শুরু করি। এ সময় চার পাঁচ জন কেন আমি ভিডিও করছি জিজ্ঞেস করে। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেই।
পরে তারা বলেন, তুই কে? তুই কিসের সাংবাদিক! ভিডিও কেন করবি? বলে ফোন ছিনিয়ে নিতে যায়। বাধা দিলে তাদের কয়েকজন আমার বুকে আঘাত করে। পরে আমি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা সরে যায়। এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে সরে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পরাগ হোসেন বলেন, আমি সেখানে হামলা ঠেকিয়েছি। আমি হাত দিয়ে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলাম। সেখানে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সেক্রেটারি সুজন মোল্লা বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝার উপায় নেই কারা গায়ে তুলেছে। আমরা শনাক্ত করতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। করতেও চাই না।
জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুধু সাংবাদিক নয়, কোন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হলেও আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কে হামলা করেছে, তার পরিচয় শনাক্ত করা গেলে আমরা সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories