কোলেস্টেরল প্রাণিদেহের প্রতিটি টিস্যুতে উপস্থিত এক ধরনের ফ্যাট, যা শারীরবৃত্তীয় কাজে প্রয়োজন হয়। কোলেস্টেরল মানুষের রক্তের প্রোটিনের সঙ্গে মিশে লিপোপ্রোটিন তৈরি করে রক্তে প্রবাহিত হয়। তবে শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা জরুরি। তবে অনেকেই জানেন না কোন বয়স থেকে কোলেস্টেরল টেস্ট করা উচিত।
কোলেস্টেরলের মাত্রা টেস্ট করার সঠিক বয়স নিয়ে একাধিক গবেষণা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে কলকাতা চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র কোলেস্টেরল টেস্ট শুরু করার সঠিক বয়স নিয়ে কথা বলেছেন। ডা. আশিস মিত্র বলেন, আগে দেখা যেন বেশিরভাগ মানুষের হার্টের অসুখ হতো বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে কিংবা মধ্যবয়সে। তবে এখন এমন নেই। কম বয়সেও অনেকেই এই রোগে ভোগেন। তাই বর্তমানে পুরুষের বয়স ২৫ পেরোলেই কোলেস্টেরল টেস্ট করানোর পরামর্শ দেয়া হয়। অপরদিকে নারীদের বয়স ৪০ পেরনোর পর বছর বছর এই টেস্ট করা উচিত। তাহলেই আগেভাগে সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কোলেস্টেরল টেস্ট বলতে লিপিড প্রোফাইল টেস্টের কথা বলা হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল, ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল এবং ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডসের মাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। তার পর সেই মতো চিকিৎসা শুরু করা হয়। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনতে বলা হয়। তাতেই রোগীর কোলেস্টেরল লেভেল মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। পিছু নিতে পারে না জটিল কোনও অসুখ।
হাই কোলেস্টেরলের লক্ষণ: কোলেস্টেরল অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে ঘাম, ক্লান্তি বোধ, দুর্বলতা, ক্ষুধা হ্রাসের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া, চোখের ওপর ও নিচে হলুদ রঙের চর্বি জমা হতে পারে মোমের মতো। এ ছাড়া যদি কারো হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, এথোরোস্কেলেরোসিস হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়, তখন বুকের বাম পাশে ব্যথা, প্রেসার বেড়ে যাওয়া, অথবা পায়ে ব্যথা এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
Leave a Reply