ডোয়াইন ব্রাভোকে মানুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা হিসেবেই চিনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)-এর মঞ্চটা তার ঘরো লিগ ক্রিকেটের শেষ মৌসুম। কিন্তু সেটাও আর হচ্ছে না। সিপিএলেই সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে চে কুঁচকিতে চোট পান ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের এই অলরাউন্ডার।
ইনজুরিতে পড়ায় সিপিএলের বাকি মৌসুম আর খেলা হচ্ছে না তার। এরপরেই জানান দিলেন সব ধরনের ক্রিকেট ছেড়ে দিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাভো। জাতীয় দলকে বিদায় দিয়েছেন ২০২১ সালে। আইপিএল অধ্যায় শেষ হয়েছে গেল মৌসুমে। শুরু করেছেন কোচিং। আইপিএলের চেন্নাই সুপার কিংস ও আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ করাও হয়ে গিয়েছে তার।
এদিকে আরব আমিরাতে আইএলটি–টোয়েন্টি লিগের তৃতীয় মৌসুমেও খেলার। কিন্তু চোট পাওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ব্রাভো। অবশ্য এরইমাঝে নতুন পরিচয়টাও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। অবসর নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে নিজেদের মেন্টর হিসেবে ঘোষণা করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২৫ সাল থেকে তিনি গৌতম গম্ভীরের জায়গায় বসবেন ডিজে ব্র্যাভো।
ইনস্টাগ্রামে অবসর ঘোষণায় ব্রাভো লিখেছেন, ‘হৃদয় চালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু শরীর ব্যথা ও ধকল আর সহ্য করতে পারছে না। আমি নিজেকে এমন অবস্থানে ঠেলে দিতে পারব না, যেখানে সতীর্থ, ভক্ত কিংবা যে দলের প্রতিনিধিত্ব করছি, তারা আমার জন্য হতাশ হবে। তাই ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়েই বলছি, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাটি থেকে আমার অবসর ঘোষণা করছি। আজ চ্যাম্পিয়ন বিদায় জানাচ্ছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ দাপিয়ে বেড়ানো ব্রাভো স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। ৫৮২ ম্যাচের ৫৪৬ ইনিংসে বোলিং করে নিয়েছেন ৬১৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ২৯৫ ম্যাচ খেলেছেন। জিতেছেন ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর ২০১২ ও ২০১৬ সালে পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ।
সিপিএলের ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ অধিনায়কই সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়। পাঁচবার শিরোপা জিতেছেন। আইপিএল, বিপিএল, পিএসএল ও বিগ ব্যাশে শিরোপা জিতেছেন। স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শুধু কাইরন পোলার্ড।
বিপিএলের পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন ব্রাভো। এর মধ্যে চিটাগং ভাই কিংস, ঢাকা ডাইনামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ফুরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। পাঁচ দলের হয়ে ৪২ ম্যাচে তার রান ৪১২ আর উইকেট নিয়েছেন ৬২টি।
Leave a Reply