শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

মুঞ্জু বাহিনীর সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজীতে অতিস্ট উত্তরার আবদল্লাপুর, জমজম, খালপাড় এলাকাবাসী

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৭ বার

রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাপুরসহ তৎসংলগ্ন এলাকা-জমজম টাওয়ার, নর্থটাওয়ার, খালপাড় পর্যন্ত কথিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মুঞ্জু বাহিনীর সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজীতে অতিস্ট উত্তরার আবদল্লাপুর, জমজম, খালপাড় এলাকাবাসী বাহিনী বিগত ৫ই আগষ্ট তারিখকে পুঁজি করে এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আাসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধীদের আন্দোলনে বিগত সরকারের পতন হওয়ার পর-দেশব্যাপী নৈরাজ্য, লুটতরাজের অংশ হিসেবে মন্জু তার নিজ বাহিনীকে সক্রিয় করে সন্ত্রাস ও চাঁদা বাজীতে নেমে পড়েন। বিগত সরকারের আমলে মন্জু পুলিশকে ব্যবহার করে স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী দেরকে নানাভাবে হয়রানি করেছে বলে স্থানীয়রা জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাবার পর মন্জু ও তার সহযোগীরা ভেঙ্গে পড়া আইনশৃংবাহিনীকে পুঁজি করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যক্তির নিকট চাঁদা দাবী করেন। বেঙ্গল এজেন্সির মালিক মো. গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, তার নিজস্ব শোরুমের সামনের দরজা ইটের দেয়াল দিয়ে আটকিয়ে দেয়। দেয়াল উঠাতে হলে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হবে।তা না হলে প্রান কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়। জমজম টাওয়ার এলাকার রেষ্টুরেন্ট ব্যয়বসায়ী খোকন মিয়া জানান, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মুঞ্জু লোকপাঠিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।টাকা দিতে অস্বীকার করলে, আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় মন্জুসহ তার বাহিনীর সহযোগীরা। খালপাড় এলাকার ঈগল এজেন্সির মালিকের নিকটেও মন্জু ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাকে ৪৮ ঘন্টার সময় বেধে দেন মন্জু বাহিনী। এতে আংকিত হয়ে ঈগল এজেন্সির মালিক শো-রুমে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে,আব্দুল্লাপুর সুইচ গেইট এলাকার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। নজরুল ইসলাম ভয়ে টিকতে না পেরে ১৫লাখ টাকা দিয়ে আপাতত রেহাই পান। নজরুল ইসলাম ভয়ে এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকেই মন্জুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। অনেকে ভয়ে মুখ খোলছে না বলে অনেকেই দাবী করছেন। সরকারের পট পরিবর্তন আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতায় মুঞ্জু বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভুক্তভোগীরা জানান,তারা সকলেই দেশব্যাপী পুলিশি কার্যক্রম শুরু হলে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মুন্জু বাহিনির মুন্জু একজন স্ব-ঘোষিত কল্যাণ সমিতির সভাপতি বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকে। তার বাড়ী ভোলা জেলায়।তার বাহিনিতে একাধিক সদস্য আছে।তাদের প্রত্যেকের নামের পাশে আতংকিত টাইটেল জড়িত। তাদের মধ্যে- ডোগার সোহেল, ছক্কা নজরুল, সুটার পারভেজ, মহসিনসহ একাধিক দুধর্ষ সদস্য রয়েছে। অনেক সময় একাধিক লোক প্রয়োজন হলে বস্তির টোকাই ভাড়া করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা ও সুম্পুর্ণ করে থাকেও বলে স্থানীয়রা। এ ব্যপারে মুন্জুর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এবং নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করে। তিনি একজন সিরামিক ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। তাকে সমাজে ছোট ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তি তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবী করেন।

আমাদের সাথেই থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories