গাজীপুরা কাজীবাড়ী এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি দখলদারিত্ব নিয়ে কাজী পরিবারের দুই গ্রুপের দু-পক্ষের মধ্যে দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।এতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, টঙ্গীর গাজীপুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ওয়াকফ হওয়ার এর মতোয়ালী নিয়োগ ও কমিটি গঠন নিয়ে কাজী পরিবারের দুই গ্রুপের মধ্যে শুক্রবার জুম্মার নামাজে খুতবা চলাকালীন সংঘর্ষের সৃস্টি হয়। পরে স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি সমঝোতার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়।
জুম্মার নামাজের পরপরই কাজী কামরুল ও কাজী মনিরের মধ্যে দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, কাজী মনির,কাজী মুন্না, কাজী ইফতি, কাজী শাওন, কাজী কিবরিয়া, কাজী কামরুল ও মুন্না প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কাজী কামরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাজী কামরুলের পক্ষ হয়ে কাজী শাওন জানান, মসজিদের ভেতর কাজী ইফতি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মাদক ব্যবসায়ী ও মদখোর মোহাম্মদ এর ছেলে জামাতের সদস্য কাজী মুন্না, কাজী কিবরিয়া, জয়সহ শতাধিক ছেলে মিলে আমার ভাই কাজী নীরবকে ধরে মারধর করে। আমাকেও মারধর করে। এসময় কাজী খোকা, কাজী বাবুল, কাজী কামরুলকে মারধর করে। আমরা এ অত্যাচার সহ্য করবো। আমরা এর বিচার চাই।
কাজী বদরুজ্জামান মুন্না জানান, কাজী কামরুল এবং কাজী শাওনের নেতৃত্বে মসজিদের ভেতরে খুতবা পড়ানোর সময় বিশৃংখলা সৃষ্টি করে এবং নামাজের পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে মোফাজ্জল হোসেন মনিসহ আমাদের উপর হামলা করে ৫ জনকে আহত করে। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই।
ঘটনার পরপর টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি তদন্ত মো. জাহাঙ্গীরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে কাজী ইলিয়ান জানান, ঘটনাটি আমাদের পারিবারিক এবং আত্বীয় স্বজনেদর মধ্যে । বিষয়টি আমরা ঘরোয়া পরিবেশে মীমাংশা করার চেষ্টা করছি।
Leave a Reply