ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হালুয়াঘাট সনাতন যুব সংঘের আয়োজনে ২৪ রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত রথযাত্রায় হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশু অংশ গ্রহন করেন।রথযাত্রা শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির আকন পাড়া থেকে শুরু হয়ে শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির উত্তর খয়ারাকুড়ি গিয়ে শেষ হয়। প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে জগন্নাথদেব শ্রী মন্দির থেকে ৮ দিনের জন্য মাসির বাড়িতে গমন করে থাকেন ঠিক আটদিন পর আবার উল্টো রথদিয়ে আবার মাসির বাড়ি থেকে শ্রী মন্দিরে ফিরে আসেন। ভক্তরা খালি পায়ে জগন্নাথ দেবকে খুশি করতে এবং পাপ থেকে পরিত্রাণ পাবার আশায় রশিতে টান দেয় এবং তার উদ্দেশ্যে কলা বাতাসা চিনি আম কাঠাল ছিটিয়ে দেন,ভগবান জগন্নাথদেবর এই রথ যাত্রা উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বী দের কাছে মহিমা পূর্ণ, বিস্বাস আছে এই যাত্রায় যারা অংশ গ্রহন করে তাদের আর এই ধরা ধামে ফিরে আসতে হয় না,রথ যাত্রা উৎসবের দিন কেউ যদি দড়ি ধরে স্পর্শ করে তবু তার কোটি কোটি পাপ বিনাশ হয়,কেউ যদি রথে উপবিষ্ট অবস্হায় জগন্নাথদেব কে একটি বার দর্শন করে তার সমস্ত কষ্ট দূর হয়। হালুয়াঘাট পৌরসভার মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা রাধা গোবিন্দ আকন পাড়া থেকে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন,বাজার মন্দির প্রদক্ষিণ করে রাধা গোবিন্দ মন্দির উত্তর খয়রাকুড়িতে শেষ হয়। পরে উত্তর খয়রাকুড়ি রাধা গোবিন্দ মন্দিরে সনাতন যুব সংঘের সভাপতি সঞ্জয় সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অন্জন সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় সাংসদ মাহমুদুল হক সায়েম,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিতছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন সরকার, ওসি মাহবুবুর রহমান ,পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবতোষ সরকার দেবল ,সাধারন সম্পাদক সুভাষ সাহা ,সহ সভাপতি, রতন পাল পতু,সনাতন যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সমীর সরকার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মিলনকান্দি সরকার,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম ও শেখ রাসেল, কাউন্সিলর রাবেকা সুলতানা ফাতেমা বেগ সহ প্রমুখ,। রথযাত্রা অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন প্রভুপাদ জয়ন্ত গোসামী তিনি বলেন, হালুয়াঘাটে ২০০৫ সাল থেকে সনাতন যুব সংঘের মাধ্যমে রথযাত্রা উৎসবটি পালন করে আসছে সেই থেকে আমি এখানে আসি ভগবানের পূজা করি। তিনি এই রথের মাহাত্ম্য বর্ননা করতে গিয়ে বলেন,এই রথ মহা প্রভু জগন্নাথদেবের রথ, আমাদের মানব দেহ; জগন্নাথের রথ ২০৬ টি কাঠ দিয়ে তৈরি যা নব দেহের ২০৬ টি হাড়ের অনুরূপ, রথে ১৬ টি চাকা= ৫টি জ্ঞানেন্ত্রিয়,৫ টি কামেন্ত্রিয় ও ৬ টি রিপুর প্রতিক রথের রশি হল মন বুদ্ধি রথের সারথি,এই দেহ রথের রথী স্বয়ং ভগবান।তার ইচ্ছা ছাড়া কিছু হয় না। আরও বলেন উল্টো রথের পর জগন্নাথদেব রথ থেকে নেমে গেলে আর এই রথে উঠেন না,তখন এই রথ ভেঙ্গে সব কাঠ ভোগ রান্নার কাজে লাগানো হয়। ১৬ জুলাই উল্টো রথের মাধ্যমে এই মহতী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে
Leave a Reply