আমি রজনীর ঐ চাঁদনী আলোয়,
চেয়ে থাকি অকারণে বারে বার,
মনে হয় ঐ নীল নীলিমায় তাঁরা ভরা রাতে
চাঁদ জোছনা ছড়িয়ে শুধু আমার পানে চায়।
ঐ দক্ষিণা পবনে হিমেল হাওয়া
পরশ বুলায় আমার গাঁয়ে।
আমি মন পবনের ভেলায় চড়ে
ভেসে ভেসে যাই ঐ আকাশের মোহনায় ?
আমি অগাধ ভালোবসি
ঐ উড়ন্ত পাখির মতো উড়তে।
আর নির্ঘুম চাতকের মতো
এই পৃথিবীকে অনুভব করতে,
আমি খুব খুবই পছন্দ করি,
এ জীবনের স্বপ্ন গুলো
রঙ তুলির রঙ্গে রাঙিয়ে যাক
আমার এ হৃদয় আকাশ।
যেখানে অনাবিল থাকবে শুধু
সুখের সাজানো বসুন্ধরা বাতাস ?
এই আমি আনমনে বসে ভাবি
মনের অগোছালো যতো ভাবনা গুলো।
এ মনের অতল গহ্বরে
রক্ত ক্ষরণ স্পন্দন জুড়েই রয়।
কি যে বিদঘুটে আঁধারে ছেয়ে যায়
ঐ কালো মেঘে এ হৃদয় আকাশ,
ক্ষত বিক্ষত করে হৃদপিন্ড।
যেন বুকের গভীরে এক বিষাক্ত তীর
অঝরে রক্ত ক্ষরণ হয়ে ঝরে যায়,
না পারে মরতে আবার না পারে বাঁচতে,
তোমরা শুনেছ ঐ ঝরা ফুলের মর্ম ব্যথা।
ঠিক এভাবেই ঝরে যায়
এ সমাজের নিস্পাপ কতো জীবন।
এ মনের ক্যানভাসে অবিরাম স্মৃতি বিজড়িত
কতো আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ কি হয়।
মনের ডাইরিতে কতো না বলা ভাষা
নিথর হৃদয়ে রয়ে যায়।
কি হবে মন মন্দিরে লক ডাউন দিয়ে,
যে কারণে ঐ পাহাড়ী ঝর্না ধারা হয়ে
এই দুই নয়ন কে কাঁদায় ?
ওহ্ জীবনের সংগ্রাম অবিরাম
অবিরত চলে কল্পনার মায়াজাল ভেদ করে।
এ মন নিঃস্ব নিস্তেজ হয়
যেন নিথর দেহের মতো ?
তাই আমার বাঁধন হারা এ মন
ঐ উড়ন্ত পাখির মতো
নিরন্তর অনুসন্ধান করে।
জীবন কাহিনী অজস্রবার
অধীরে ভেবে যাই সারাক্ষণ।
Leave a Reply