বর্তমানে নিজ বা ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার্থে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে মতানৈক্য আর সংবাদকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ পার্থক্য নেই বললেই চলে। এই দুই শ্রেনীর দায়িত্ব বা কর্তব্য হলো বিনা স্বার্থে মানব কল্যাণে ও মানব সেবায় নিজেদের উজার করে কাজ করা ।
কিন্তু এখন আর সেই বালাই নেই কোনখানে। নীতি আর্দশকে জলাঞ্জলী দিয়ে এই দুই শ্রেনীর মানুষের মধ্যে এখন দ্বিধা-দন্ধ, বিবেদ, প্রকাশ্য গ্রুপিং, হিংসা, প্রতিহিংসা এবং একে অপরের প্রতি অপ-প্রচার, মিথ্যাচার চরমভাবে বেড়েই চলছে। এযেন পৈত্রিক ওয়ারিশান সম্পত্তির মতো, বাটোয়ারা নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে, ভাইয়ে বোনে দন্ধ ।
আজকাল দল বা সহকর্মীর কথা, সেবা বা মানুষের কথা ভাবে এ দুটি মাধ্যমের স্থানীয় নেতাকর্মী বা সংবাদকর্মীরা।তারা সর্দা ব্যস্ত নিজ বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক স্বার্থ নিয়ে। স্বার্থ রক্ষার্থে নিজ দলের নেতা বা সংবাদমাধ্যম সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার, মিথ্যাচার না করলেই নয় ! এসব অপ-প্রচারকারীরা কি সত্যিকার অর্থে দল বা স্ব-গোত্রের ভালো চায় ? আমি বলবো-না ! কারন: দল বা গোত্রের অপ-প্রচারকারীরা নিজেদের আখের গোছাতে না পেরে এবং সময়ের অতিথি হওয়ার কারণে বর্ণ-গোত্র ভূলে, দলের বা পেশাগত স্ব-গোত্রের প্রকাশ্য ক্ষতি করছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে নিজের স্বার্থে। যা একটি রাজনৈতিক দল বা সংবাদমাধ্যমের জন্য আগামীর হুমকি বটে। এসব প্রতিহিংসা পরায়ণ, অপ-প্রচারকারী, দু-মুখো নেতাকর্মী এবং সময়ের স্বার্থান্বেষী অতিথি কিংবা সংবাদমাধ্যমর স্ব-গোত্রীয় মিথ্যাবাদীদের বিরুদ্ধে নীতি নির্ধারণীরা জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন না করলে আগামীতে রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যম গুলো সত্যিকার অর্থেই চরমভাবে হুমকির সম্মূখীন হবে, শতভাগ । আমি চাই , রাজনৈতিক দলের মধ্যকার বিরোধ দলাদলি এবং সংবাদপত্রের নীতিমালা বর্হিভূত কর্মকান্ড নিরুপনের সাথে সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার, মিথ্যাচারকারীদের চিহ্নিত করণের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। কথায় বলে “দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল” অনেক ভালো।
যাচাই বাচাইহীন অবাধ তথ্য প্রবাহ বিস্তারের নামে যত্রতত্র সংবাদপত্র প্রকাশনার অনুমতি দিয়ে অপ-সাংবাদিকতার বিস্তার আর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করার মধ্যদিয়ে উম্মুক্ত রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি আগামী প্রজন্মের জন্য হুমকিই শুধু নয়, দেশ ও জাতির জন্যও অ-কল্যাণকর বটে। এ দূর্দশা থেকে দেশ ও জাতির পরিত্রাণ একান্তই জরুরী।
Leave a Reply