শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গীতে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার ॥ গানের শিক্ষক মানসুরা আক্তার জিতুকে গলা কেটে হত্যা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাগরে মাছ ধরার নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু পানিতে ডুবে দুই ভাইবোনের মৃত্যু ফুলপুরে পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদ আয়োজনে পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ওপেন হাউস ডে/২৩ অনুষ্ঠিত শেরপুরে জেলা আইনজীবীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বাড়ি ফেরা হলোনা ব্যাংক কর্মকর্তার গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার ৬৯ তম জন্মদিন পালিত টঙ্গীতে তমিজী হকের সম্মেলন স্থগিত: ফেসবুক স্ট্যাসের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু এবং মশাল মিছিল

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পিডিইপি-৪ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্দা
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
  • ৭৭ বার

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর দুর্নীতিবাজ (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আব্দুস ছালাম কর্তৃক পিডিইপি-৪ প্রকল্পের মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বিদ্যালয়ের কমপক্ষে দেড়লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ,২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেরামতের জন্য ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তালিকায় পৌর এলাকার উদয় সাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিলো।

গত জুন ক্লোজিং- এ উক্ত বিদ্যালয়ের নামে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর ভুয়া কার্য সম্পাদন প্রত্যয়ন সনদ দাখিল পূর্বক (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালাম ট্রেজারী হতে বরাদ্দের সমুদয় টাকা উত্তোলন করে তার একক স্বাক্ষরে পরিচালিত এসটিডি ব্যাংক হিসেবে জমা রেখে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের সাথে অর্থ আত্মসাতের তদবির করেন। যাদের সাথে গোপনে ঠিকা চুক্তি হয় ফিপটি ফিপটি গিভ এন্ড টেক আলোচনা ফলপ্রসু হয়। সেই সকল প্রধান শিক্ষকদের নামে চেক ইস্যু করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাত করেন।

এমনই এক প্রমাণিক ঘটনা পৌর শহরের উদয় সাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্লাক এন্ড হোয়াইট প্রমানপত্র দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৮ ফেব্রয়ারী-২০২১ উদয় সাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের এক লিখিত আবেদনে জানা যায়,তার বিদ্যালয়ের নামে মেরামতের কাজের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তাকে দেয়া হয়েছে মাত্র এক লক্ষ টাকা। বিদ্যালয়টি নতুন ভবনের টেন্ডার হওয়ায় মেরামতের সুযোগ না থাকায় এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে তার প্রাপ্ত এক লক্ষ টাকার মাত্র ৪০ হাজার টাকার ভুয়া ভাউচার জমা দিয়ে অবশিষ্ট ৬০ হাজার টাকা শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালামকে লিখিত ভাবে ফেরত প্রদান করেন।
প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ফেরতের টাকা গত ২৮ ফেব্রয়ারি-২০২১ইং লিখিত ভাবে গ্রহন করেন প্রধান অফিস সহকারি (ইউডিএ) কথিত বড় বাবু মো. আব্বাস আলী। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হতে থাকলে অবস্থা বেগতিক দেখে দীর্ঘ তিন মাস পর আব্বাস আলী তার পকেটস্থ করা ৬০ হাজার টাকা গত ২৩ মে-২০২১ ইং শিক্ষা অফিসারের একক স্বাক্ষরে পরিচালিত এসটিডি ব্যাংক হিসেবে জমা প্রদান করে অর্থ আত্মসাতের এক জলন্ত প্রমাণ বলবৎ করেন।
এ বিষয়ে প্রধান অফিস সহকারি আব্বাস আলী ও শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালামকে এ ধরনের ফেরতের অর্থ তাদের পকেটে বা নিজস্ব হিসেবে রাখার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন,আছে।বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের জরুরী তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories