গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্ত: জেলা পিকআপ চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, মো. ইয়াসিন (১৯), মো. ইলিয়াস (২৭), রমজান (৩০), মো. নাহিদ (২৩), মো. বেলাল খা (৪০), আব্দুল আলিম (৩০), কাশেম বেপারী (৩৫), বাবুল মিয়া (৪০) ও আবু বকর সিদ্দিক (৫২)।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় দায়ের করা একটি পিক আপ চুরির মামলা তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে আন্ত :জেলা চোর চক্রের সন্ধান। চক্রটি একের পর এক পিকআপ চুরির সঙ্গে জড়িত। পরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার এবং চোরাই ৪টি পিকআপ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে বাসন থানার ভোগড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী রোডের স্কয়ার ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে ৬ লাখ টাকা মূল্যমানের একটি পিকআপ চুরি হয়। এ ব্যাপারে পিকআপটির মালিক আবুল বাশার ৯ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ৯ তারিখে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য ইয়াসিন ও ইলিয়াসকে একটি পিকআপসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, গত সোমবার ইয়াসিন ও ইলিয়াসকে রিমান্ডে এনে জিগ্যাসাবাদ করলে স্বীকার করে, তারা আন্ত: জেলা চোর চক্রের সদস্য এবং তাদের দখলে আরও চোরাই পিকআপ রয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে, সোমবার রাতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়।
তিনি আরো জানান, অভিযানে অভিযুক্ত নাহিদ ও রমজানকে মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে মালিক কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার ও তার গ্যারেজ থেকে চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেলাল খা ও আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকা থেকে বাবুল মিয়া ও আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে অপর একটি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মোঃ খায়রুল আলম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ, বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রোকন প্রমুখ। মঙ্গলবার বিকালে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply