শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গীতে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার ॥ গানের শিক্ষক মানসুরা আক্তার জিতুকে গলা কেটে হত্যা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাগরে মাছ ধরার নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু পানিতে ডুবে দুই ভাইবোনের মৃত্যু ফুলপুরে পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার গাইবান্ধা উপজেলা পরিষদ আয়োজনে পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ওপেন হাউস ডে/২৩ অনুষ্ঠিত শেরপুরে জেলা আইনজীবীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বাড়ি ফেরা হলোনা ব্যাংক কর্মকর্তার গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার ৬৯ তম জন্মদিন পালিত টঙ্গীতে তমিজী হকের সম্মেলন স্থগিত: ফেসবুক স্ট্যাসের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ু এবং মশাল মিছিল

আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকার মধ্যে আসবে : ভোক্তার ডিজি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩ বার

কৃষকরা মাঠপর্যায়ে এ মৌসুমে ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করেছেন, যা অন্যান্য খরচসহ ব্যবসায়ীরা হিমাগারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দামের মধ্যে সংরক্ষণ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগারে সংরক্ষণের খরচ ৫ টাকা। এরপর সেটি রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা বাজার হয়ে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, যা অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সব পক্ষের কাছে আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আমরা কাজ করছি, আশা করা যায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর বাড়তি দাম কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।
আজ মঙ্গলবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। এ সময় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হিমাগার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়ায় আলু ভোগের পরিমাণ বেড়েছে। যার প্রভাবে আলোর সরবরাহ কমেছে এবং দাম বেড়েছে।
এ ছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরাও স্বাভাবিকের তুলনায় আলুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সরবরাহ সংকটের অজুহাতকে দায়ী করেন। আবার কেউ কেউ হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমার কথা বলেন।
অন্যদিকে হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী এবং কৃষক। ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। মাত্র ১ শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। বাকি ৪০ শতাংশ বীজ আলু বলে দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, হিমাগারে শুধু ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করেন। দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো হিমাগারে অস্বাভাবিক পরিমাণের আলু মজুত থাকলে সে তথ্য আমাদেরকে দিন। এটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আমরাও বিষয়টি দেখব।
তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি মাঠ পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ও তথ্য দিয়েছে অন্যরাও যে তথ্যগুলো দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার মাঠ পর্যায়ে ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ব্যবসায়ীরা ১৮-২০ টাকা খরচের মধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। বাজারে প্রতি কেজি আলুতে খরচ ৫ টাকা এছাড়া পরিবহন ও অন্যান্য খরচ দিয়ে সর্বোচ্চ আলুর দাম ২৭ থেকে ২৮ টাকা হলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফা থাকে। সেই আলু রাজধানীর পাইকারি বাজারে এসে অন্যান্য খরচ দিয়ে ৩১-৩২ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা ধরে ভোক্তা পর্যায়ে এসে সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। তবে এখন দাম যৌক্তিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি আলুর দামে একটি ১০-১২ টাকার গ্যাপ রয়ে গেছে। এটা কমানোর জন্য আমরা আগামীকাল থেকে বাজার মনিটরিং ককঠোরভাবে শুরু করবো। তবে আমরা আলুর দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছি না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুধু আমদানি নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় আইনে। আলুর মতো কৃষি পণ্যের নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো খবর

Categories